প্রাইজবন্ড কি? প্রাইজবন্ড কোথায় পাওয়া যায়? প্রাইজবন্ড কেনার উপায়।

১০০ টাকার প্রাইজবন্ড কোথায় পাওয়া যায়, প্রাইজবন্ড কিভাবে কিনব

প্রাইজবন্ড কি? প্রাইজবন্ড কাকে বলে?

প্রাইজবন্ড অনেকটা লটারির মত। কিন্তু এটা লটারি না। লটারি যেমন একবার ড্র হয়ে গেলে সেটার আর মেয়াদ থাকেনা এবং লটারিটির মূল্যও থাকেনা। অর্থাৎ লটারিতে না জিতলে পুরো টাকাটা আপনার লস। এদিকে প্রাইজবন্ড এর ড্র হয়ে যাওয়ার পরও এর মেয়াদ শেষ হয়না। পরবর্তী ড্র এর সময়ও এর মেয়াদ থাকে। অর্থাৎ প্রাইজবন্ড এর মেয়াদ শেষ হয়না। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল প্রাইজবন্ড এর কয়েকবার ড্র হওয়ার পরও, আপনি চাইলে সেগুলো ভাঙ্গিয়ে আবার টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার ভাগ্য ভাল হলে প্রাইজ পেতে পারেন। আর না পেলেও আপনার লস হবে না।

প্রাইজবন্ড এর মূল্যঃ

প্রাইজবন্ড হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কতৃক প্রবর্তিত এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক পরিচালিত এক ধরণের কাগজের মুদ্রা। প্রাইজবন্ড প্রথম চালু হয় ১৯৫৬ সালে আয়ারল্যান্ডে, আর বাংলাদেশ এ চালু হয় ১৯৭৪ সালে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু হয়, তারপর ১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু করা হয়। ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু হওয়ার পর পূর্বের ১০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানেরগুলো ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ৪ কোটি ৪০ লাখ টি প্রাইজবন্ড রয়েছে।

প্রাইজবন্ড কোথায় পাব?

বাংলাদেশে এক সময় প্রাইজবন্ড অনেক জনপ্রিয় ছিল। জন্মদিনে বা বিয়েতে উপহার বা  পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনে ও উপহার বা পুরষ্কার হিসেবে  প্রাইজ বণ্ডের বেশ প্রচলন ছিল। প্রাইজ বন্ড এত জনপ্রিয় হওয়ার কারন, এটি দারুন একটি সঞ্চয়  এর পদ্ধতি। এখন কথা হচ্ছে, প্রাইজবন্ড কোথায় পাওয়া যায়? বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস, সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীন সারাদেশে ৭১টি সঞ্চয় ব্যুরো অফিস এবং পোস্ট অফিস থেকে ১০০ টাকা মূল্যমানের বন্ড কেনা ও ভাঙানো যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোথাও প্রাইজবন্ডের লেনদেন সাধারণত বেআইনী।

প্রাইজবন্ড কিভাবে কিনব? প্রাইজবন্ড কেনার নিয়মঃ

উপরে উল্লেখিত যেকোন জায়গায় গিয়ে বলবেন প্রাইজবন্ড কিনতে চাই তখন তারা আপনাকে যত টাকার প্রাইজবন্ড কিনতে চান তত টাকার বন্ড দিবে। প্রাইজ বণ্ডের বাহক  ই বণ্ডের মালিক। এর কোন মালিকানা নেই। যে কোন বয়েসের যে কেউ প্রাইজ বণ্ডের মালিক হতে পারে। বন্ড কিনতে কোনো রকম জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে না তবে পুরস্কারের টাকা তুলতে গেলে বন্ডের রশিদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ব্যাংক হিসাবের বিবরণ, নমিনি এবং প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সনাক্তকারীর স্বাক্ষর লাগবে।

প্রাইজবন্ড এর ড্রঃ

১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয় বছরে চারবার: ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর। বন্ড কেনার দুই মাস পার হওয়ার পর প্রাইজবন্ড ড্রর আওতায় আসে। ড্র অনুষ্ঠানের দুই বছর পর্যন্ত পুরস্কারের টাকা দাবি করা যায়। এর মধ্যে কেউ দাবি না করলে পুরস্কারের অর্থ তামাদি হয়ে সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়। আপনি “ড্র” এর ফলাফল দেখতে পারবেন পত্রিকায় অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে। আর যদি প্রাইজ বন্ডে পুরস্কার না পান, তবে যে কোন সময়ে প্রাইজ বন্ডের সমমূল্যের টাকা সরকারি/বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা পোস্ট অফিসেও ভাঙ্গাতে পারবেন।

প্রাইজবন্ড এর পুরষ্কারঃ
(ক) ৬,০০,০০০ টাকার প্রথম পুরস্কার একটি
(খ) ৩,২৫,০০০ টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার একটি
(গ) ১,০০,০০০ টাকার তৃতীয় পুরস্কার দু'টি
(ঘ) ৫০,০০০ টাকার চতুর্থ পুরস্কার দু'টি
(ঙ) ১০,০০০ টাকার পঞ্চম পুরস্কার চল্লিশটি

প্রাইজ বন্ড মুলত সরকারের প্রতি জনগণের একটি সুদ মুক্ত বিনিয়োগ। তাই আপনি চাইলে এটি সঞ্চয় করতে পারেন ড্র তে মিলিয়ে দেখার জন্য।

পোষ্টটি যদি ভাল লাগে তাহলে আপনার ফেসবুক ওয়ালে ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। নতুন নতুন সব টিপস পেতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন। আর চাইলে আমাদের সাথে যোগ দিতে পারেন মেগাটিউনবিডির ফেসবুক পেজে

তথ্যসূত্রঃ
১। http://bit.ly/2rMlWDl
২। http://bit.ly/2IqXNIR
৩। http://bit.ly/2KxfAPq

ট্যাগঃ ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড, ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড কোথায় পাওয়া যায়? , প্রাইজবন্ড চেক করার উপায়, প্রাইজবন্ড চেক করব কিভাবে?, প্রাইজবন্ড কোথায় পাওয়া যায়? ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড কিনব কিভাবে?

Related Posts

Post a Comment

15 Comments

  1. আমি ৭ টি প্রাইজবন্ড কিনেছি ৷ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিনেছি ৷ আমি টাকা দেয়ার পর ব্যাংক কর্মকর্তা আমাকে ৭ টি প্রাইজবন্ডের টিকিট দিলেন ৷ কোন কিছু লিখেন নি এবং এর কোন অংশ ওনাদের কাছে রেখেছেন বলেও মনে হয় না ৷ তাহলে ড্র হলে আমার প্রাইজবন্ড গুলো কি ড্র তে বিবেচিত হবে? আমার প্রাইজবন্ডের নাম্বার তো ওনারা টুকে রাখেন নি ৷ তাহলে কিভাবে আমার প্রাইজবন্ড ড্র এর জন্য বিবেচিত হবে? জানালে উপকৃত হবো ৷

    ReplyDelete
    Replies
    1. বিবেচিত হবে, অসুবিধা নাই। আপনি পেপার এ নাম্বার দেখে মিলিয়ে নিবেন। মিলে গেলে আপনার কাছে যে কপি আছে সেটা দিয়েই প্রাইজ নিতে পারবেন।

      Delete
  2. প্রাইজ বন্ড সরাসরি বাংলাদেশ বেংক থেকে কি আনাজায়

    ReplyDelete
    Replies
    1. Na, jay na. Kotha theke nite parben ta post bole deya ache. Thanks.

      Delete
  3. Hello vai ami Saudi Arab theke bond kinte chai. kivabe kinbo?

    ReplyDelete
    Replies
    1. Bangladesh a relative keu thakle tar maddhome kinte paren.

      Delete
  4. দেশের যেকোন প্রান্তের পোস্ট অফিসে প্রাইজবন্ড পাওয়া যাবে?

    ReplyDelete
  5. কোন কোন সময় প্রাইজ বন্ড কেনা যায় জানালে উপকৃত হব

    ReplyDelete
  6. jekono bank theke ki bond kena jai?

    ReplyDelete
  7. ১/আমার কাছে ১৯৯৭ থেকে ২০১৮ সালের সিল সহ কতগুলা প্রাইস বন্ড রয়েছে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বন্ড এর নম্বর গুলো কি ২০২০ সাল বা পরেও ড্রতে আসতে পারে নাকি যে যে বছর ড্র হয় ঐ বছরেরই সিলসহ বন্ড ক্রয় করতে হবে?
    ২/আমি ঢাকা থেকে কিছু বন্ড ক্রয় করেছি যার মধ্যে একটি চট্রগ্রাম ও একটি খুলনার বন্ড এসেছে এটা কি আমি ঢাকায় বিক্রি করতে পারব ?

    ReplyDelete