কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ সিকিউরড রাখার গুরুত্বপূর্ন টিপস

 

কম্পিউটার সিকিউরড রাখার গুরুত্বপূর্ন টিপস

আমরা অনেক সচেতনতা মূলক কথা শুনি যে, হ্যাকিং, ম্যালওয়্যার, ভাইরাস এগুলো থেকে সেফ থাকতে হবে। তো আজকে কম্পিউটার এর সিকিউরিটি সম্পর্কে কিছু টিপস দিব যাতে আপনার সাধের কম্পিউটার/ল্যাপটপটি নিরাপদ থাকে।

কম্পিউটার সিকিউরিটি টিপস

৭ টি কম্পিউটার সিকিউরিটি টিপস

১। ফায়ারওয়াল ইউজ করা
ফায়ারওয়াল হচ্ছে এমন একটু সফটওয়্যার যা আপনার কম্পিউটার এর ইনকামিং এবং আউটগোয়িং কানেকশন হ্যান্ডেল করবে। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর সাথে বাই ডিফল্ট দেয়া থাকে। এটা ইউজ করলেই যথেষ্ট। কিন্তু আপনি চাইলে Comodo Firewall ইউজ করতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ ফ্রী আর ইউজার ফ্রেন্ডলি। ফায়ারওয়াল এর জন্য আমি এটাই রেকমেন্ড করব।

২। এন্টিভাইরাস ইউজ করা
আপনার ল্যাপটপ অথবা কম্পিটারে অবশ্যই একটি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু আমাদের অনেকেরই এন্টিভাইরাস নেই, আবার যাদের আছে তাদের এণ্টিভাইরাস এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা আর আপগ্রেড করেননি। কিন্তু ইন্টারনেট অনেক পাওয়ারফুল এন্টিভাইরাস ফ্রীতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে সেখান থেকেও একটি ইউজ করতে পারেন।

৩। সফটওয়্যার আপডেটেড রাখা
আপনি আপনার পিসিতে যে সফটওয়্যার গুলো ইউজ করেন সেগুলোতে প্রতিনিয়ত বাগ, ভালনারেবিলিটি পাওয়া যায়, তাই সফটওয়্যার নির্মাতারা এগুলো আপডেট করতে থাকে, তাই আপনারও উচিত সব সময় আপডেটেড সফটওয়্যার ইউজ করা।

৪। জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা
আপনি, আমি, আমরা নরমাল ইউজাররা সাধারণত খুব দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি যা হ্যাকাররা খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারে। এমন অনেক সফটওয়্যার আছে যা আপনার পসিবল পাসওয়ার্ড কম্বিনেশন বের করে ফেলতে পারে। এটিকে বলা হয় ব্রুটফোর্স টেকনিক। আপনার পাসওয়ার্ড যদি ৪-৫ ক্যারেক্টার এর হয় তাহলে এটি তা বের করে ফেলতে পারবে। এগুলো ব্রেক করতে পারেনা যে পাসওয়ার্ড ৮-৯ ক্যারেক্টার এর হয় সাথে বড় হাতের, ছোট হাতের অক্ষরের কম্বিনেশন থাকে। পাসওয়ার্ড কতটা শক্তিশালী তা চেক করার জন্য অনলাইনে অনেক টুলস রয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কম্পিউটার টিপস যা সকলের মেনে চলা উচিত।

৫। টোটালি ডিফারেন্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা
আমাদের একটি কমন সমস্যা হল আমরা সব জায়গায় সব সাইটে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি যা মোটেও উচিত নয়। যদিও প্রত্যেকটা একাউন্ট এর জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড মনে রাখা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু আপনি মনে রাখার জন্য একটা প্যাটার্ন তৈরী করে নিতে পারেন। অথবা পাসোয়ার্ড ম্যানেজার ইউজ করতে পারেন।

৭। সবসময় সতর্ক থাকা
অবশেষে হ্যাকিং থেকে বাঁচতে চাইলে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে, নেট ব্রাউজ করার সময়, কোন ফাইল ইন্টারনেট  এ আদান প্রদান করার সময়। সবসময় সফটওয়্যার এর সোর্স ওয়েবসাইট চেক করা।

আর সবচেয়ে বড় কথা হল, কোন অ্যামেচার হ্যাকার আপনার কিছু করতে পারবে না, আর কোন প্রফেশনাল হ্যাকার আপনাকে হ্যাক করার সময় কোথায়? সো চিল।

আপনি মনে হয় খেয়াল করেননি উপরে একটি টিপস কম দেয়া হয়েছে। যাই হোক ১ট টিপস এর পরিবর্তে নিচে ২টি টিপস দিয়ে দিলাম।

এন্টিভাইরাস ছাড়াই ভাইরাস দূর করুন

কম্পিউটার এর ফাইল হাইড করুন এপস ছাড়া


পোস্টটি ভাল লাগবে আশা করি। এর বাইরে যদি কোন সিকিউরটি টিপস আপনার জানা থাকে তাহলে কমেন্ট এ জানান। আর সবাইকে সতর্ক করার জন্য পোস্টট শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Related Posts

Post a Comment

0 Comments